ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্সের মেয়াদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের সম্মান বা অনার্স কোর্সের মেয়াদ কমিয়ে তিন বছর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে রোববার ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছরের অনার্স কোর্সকে তিন বছরের কোর্স করা হবে। বাকি এক বছরে ডিপ্লোমা ও কারিগরির ওপর ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেয়া হবে। তারপর তাদের দুটো সার্টিফিকেট দেয়া হবে। একটা অনার্সের সার্টিফিকেট দেয়া হবে; আরেকটা ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট দেয়া হবে, যে সার্টিফিকেট ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। তার অনার্স পড়ার যে ড্রিম তাও ঠিক থাকল, আর চাকরিও তারা পাবে, অনেক ভালো চাকরি।

নতুন ব্যবস্থায় কর্মসংস্থানে বেগ পেতে হবে না বলে মনে করেন বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, একটা অভিনব অসাধারণ সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে।

অধ্যাপক আমিনুল বলেন, সমস্যা হচ্ছে বাপ-মা সবসময় বলে, ‘ছেলেকে বিএ, এমএ পাস করাব’। ছেলে লেখাপড়া করুক আর না করুক, লেখাপড়া করে শিক্ষকতায় থাকুক আর না থাকুক, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে অনার্স-মাস্টার্স পাস করবে। তা না হলে বিয়ের বাজারে তাদের অসুবিধা হবে। কন্যাপক্ষ যদি জানে ছেলে বিএ পাস; এমএ পাস না, অনার্স না- তাহলে বিয়ে হবে না তাদের। ভালো বিয়ে ভেঙে যাবে।

তিনি বলেন, আবার এটাও ঠিক- যারা পাস করবে, তারা কেউ চাকরিও করবে না। অনেকের চাকরি দরকারও নাই; বাপ-মার টাকা-পয়সা আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে- এগুলো নিয়েই তারা দিব্যি চলতে পারবে।

ডিপ্লোমা বা কারিগরি ডিগ্রি নিয়ে অনেকেরই যে নাক সিঁটকানো মনোভাব রয়েছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরতে গিয়ে বিশেষ সহকারী আমিনুল বলেন, এটা একটা ট্যাবু, স্টিগমা রয়েছে গোটা দেশের ভেতর- ‘ডিপ্লোমা যদি পড়ে, কারিগরি যদি পড়ে, তাহলে এটা খুব খারাপ একটা বিষয় হবে। লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। এটার জন্য খুব অভিনব ব্যবস্থা করতে যাওয়া হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে।

কারিগরি শিক্ষার আমূল পরিবর্তন আনা হবে জানিয়ে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, যেটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল দেশের জন্য, সেটা সবচেয়ে অনুন্নত অবস্থায় আছে। তাদের যে শিক্ষক দরকার, তার ১৮ পার্সেন্ট রয়েছে। তাদের প্র্যাক্টিকাল ও থিওরি আছে। প্র্যাক্টিকালের জন্য ল্যাবরেটরি নাই, ট্রেইনার নাই, টিচার নাই। তাই থিওরি পড়িয়ে দেয়া হয়, পরে ভাইভা নেয়া হয়। প্র্যাক্টিকাল করানোই হয় না, কিন্তু তার ভিত্তিতেই সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়া হয়। এটার আমূল পরিবর্তন করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষা বিভাগের সচিব কবিরুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি